সাবেক প্রধানমন্ত্রী জিয়ার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সহমর্মিতা বা সহানুভূতির ঘাটতি নাই। কিন্তু এক্ষেত্রে সহানুভূতির কথা বলে তো আমরা আদালতকে প্রভাবিত করতে পারি না বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার রাজধানীর ব্রাক সেন্টারে আয়োজিত নারী গাড়িচালকদের প্রশিক্ষণ পরবর্তী সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে তার পরিবারের বিশেষ আবেদন করার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা বিশেষ আবেদনের কথা বলছেন, তারা আসলে আবেদন কার কাছে করবেন? আদালত নাকি, সরকারের কাছে?। তিনি বলেন, বেগম জিয়া কিন্তু এখন আদালতের এখতিয়ারে। এখানে সহমর্মিতা-সহানুভূতির বিষয় নয়, এটা লিগ্যাল ব্যাপার।
এর আগে শুক্রবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করে তার পরিবার। বেরিয়ে এসে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির বিষয়ে বিশেষ আবেদন করা হবে বলে জানায় তার পরিবার।
বিএনপির অভিযোগ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জেতার জন্য সরকার সবকিছু ‘ব্যবহার’ করছে। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা উল্টো চিত্রটাই জানি। বিএনপি’র নির্বাচনে হেরে যাবার আশঙ্কা আছে। বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য নানামুখি অজুহাত খুঁজছে।’
সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সদ্য সমাপ্ত চট্টগ্রাম উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। আবার বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতিতে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। যদি ইভিএমে কারচুপি করার সুযোগ থাকে এবং নির্বাচন নিয়ে কোনো জালিয়াতি হয় তাহলে চট্টগ্রাম ও উপ-নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম কেন? সরকারের যদি এখানে খারাপ কোনো উদ্দেশ্য থাকত তাহলে তো নির্বাচনে উপস্থিতির সংখ্যা বেড়ে যেতো! নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে এমন অভিযোগ করা যুক্তিহীন।
বিএনপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে হয়েছে তারা বলুক কোন জায়গায় কখন কিভাবে নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে, একটা অন্তত উল্লেখ করুক। কোনো তথ্য প্রমাণ নেই তারা শুধু বলার জন্য বলেই যাচ্ছেন।